Reviews
নাটক : একমুঠো প্রেম অভিনয় : আফরান নিশো , তানজিন তিশা পরিচালনা : জাকারিয়া শৌখিন আমাদের সমাজে অনেক বিয়ে হয় যেখানে মেয়ে কবুল বললেও সেটা মন থেকে বলে না, তবু ও সংসারটা করতে হয় তার ভালোবাসার মানুষটিকে জীবনের অধ্যায় থেকে ত্যাগ করে। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়াররা সবসময়ই কবিতাপ্রেমী মানুষ এর ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করে নিয়ে যাবে এই অভিযোগ বয়ে বেড়াতে রাজি নয় নাটকের বর। এ যেনো এক স্যাক্রিফাইসের গল্প। এমন অনেক গল্প আছে কবিদের জীবনে , কাব্যপ্রেমীদের জীবনে যেখানে তার ভালোবাসার মানুষকে এই যুগে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়াররাই বিয়ে করে নিয়ে যায়। অই ভবঘুরে, প্রকৃতি প্রেমী হওয়াতে তার ভালোবাসার মানুষকে নিজের করে রাখতে পারে না কবি। এমন গল্পেই মূলত সাজানো হয়েছে নাটকটি। যদিও বাস্তবে এমনটি হবে না তাও কাব্যিকভাবে নাটকটি যেভাবে ফোটানো হয়েছে তা সত্যিই মুনোমুগ্ধকর। কবিদের জীবনে প্রেমে ব্যর্থ হবার পরেও এমন ভালোবাসার রেশ পাওয়া যায় যা সত্যিই সুন্দর ছিলো। আফরান নিশো ভাইয়ের অভিনয় নিয়ে কথা বলার কোনো জায়গা নেই। এসব অভিনয়ে উনি ভালোটা উপস্থাপন করেন বরাবরই। তানজিন তিশা আপুর এক কাব্যিক প্রেমী মানুষকে এমন সরলতা নিয়ে ভালোবাসার অভিনয় মুগ্ধতা ছড়িয়েছে আর সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে এ কে আজাদ ভাইয়ের কথাগুলো। লিংক : https://youtu.be/CtGrf-mHaEY
কায়কোবাদ এক্সপ্লেইনেশনঃ নাটকটার এমনভাবে এন্ডিং দেয়া হয়েছে পরিচালক চেয়েছে যেন পুরো রহস্যটা দর্শকরা বুঝে নেয়।আর অনেকের মনে ছোট ছোট প্রশ্ন তৈরী হয়েছে।তাই এক্সপ্লেইনেশন লেখা। **স্পয়লার এলার্ট** শেষ দৃশ্যে মরা বিড়াল থেকে প্রমাণিত হয় যে আগের রাতের পুরো ইনসিডেন্টটা সত্য ছিল।আর কায়কোবাদ ছিল শুধু গল্পের কাঠ মিস্ত্রি..বাস্তবের নয়।কিভাবে? ওইদিন রাতে পুলিশ লেখিকা আপুর সোফায় চেক করে কোন গোপন চেম্বার পায়নি যেটাতে মানুষ লুকাতে পারে।ওভার শিউর হতে চাইলে পুলিশ স্টেশনে একটু খোজ নিতে পারত যে ঢুকার কোন আলামত নেই কিন্তু চুরি করে বের হয়ে গেছে এমন কোন কেস রিপোর্ট হয়েছে কিনা।বিত্তশালীরা এরকম চুরির শিকার হলে অবশ্যই থানায় রিপোর্ট করবে। কায়কোবাদ কি আসলেই অন্ধ? একদম নয়।সে মার্ভেল সুপার হিরো ডেয়ারডেভিল নয় যে অন্ধ চোখ নিয়ে রাতে আধারে এত সব কান্ড ঘটাবে।সে নিজেকে সন্দেহ মুক্ত রাখতে চোখে লেন্স লাগিয়ে অন্ধ সেজে লেখিকার সাথে দেখা করে।.. আর সে লেখিকার প্রেমে পড়েনি।তার একমাত্র উদ্দ্যেশ ছিল লেখিকাকে গল্পের ফ্যান্টাসি আর রিয়েলিটি দুটোর ফ্লেভারে মোহিত করে গল্প পাবলিশ করা। কিন্তু বিখ্যাত থ্রিলার লেখিকা তার কিছুই বুঝতে পারেনি।তাকে কায়কোবাদ সাহেব জাস্ট ম্যানিপুলেট করে গেছে।